পিপলস ডিফেন্স ফোর্স গ্রুপ (পিডিএফ) ও জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন (ইএও) সারাদেশে জান্তা শাসনের লক্ষ্যবস্তুতে তাদের আক্রমণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এরফলে গত চার দিনে একজন সেনা মেজর ও একজন ক্যাপ্টেনসহ প্রায় ৩০ জন জান্তা বাহিনীর সেনা নিহত হয়েছেন।
থাইল্যান্ডের একটি সংবাদ ওয়েবসাইট ইরাবদির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের মোন, কারেন, রাখাইন ও কায়া রাজ্যের পাশাপাশি বাগো, তানিনথারি ও সাগাইং অঞ্চলে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
কিছু সামরিক হতাহত স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি। পিডিএফ গ্রুপের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে জান্তা বাহিনী গ্রুপ টাউনশিপে একটি গাড়িতে করে বেসামরিক বন্দিদের বহন করছিল। তখন পিডিএফ ওই গাড়িতে হামলা চালায়।
অভিযানে তিন সেনা নিহত হন এবং অপর একজন আহত হয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পিডিএফ গ্রুপটি বেসামরিক বন্দীদের মুক্তি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে মায়ানমার জান্তা বৃহস্পতিবার কারেন রাজ্যের মায়াওয়াদি টাউনশিপে এমআই-৩৫ হেলিকপ্টার গান-শিপ ও একটি নজরদারি বিমান ব্যবহার করে কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) ও সহযোগী পিডিএফ গ্রুপগুলোর সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়।পিডিএফ গ্রুপের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে জান্তা বাহিনী গ্রুপ টাউনশিপে একটি গাড়িতে করে বেসামরিক বন্দিদের বহন করছিল। তখন পিডিএফ ওই গাড়িতে হামলা চালায়।
অভিযানে তিন সেনা নিহত হন এবং অপর একজন আহত হয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পিডিএফ গ্রুপটি বেসামরিক বন্দীদের মুক্তি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রতিরোধ সামরিক দল ডিভিশন ৪৪ এর কমান্ডের অধীনে জান্তা বাহিনীর উপর হামলা চালায়। এতে অনেক জান্তা সেনা নিহত বা আহত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সংঘর্ষের তীব্রতার কারণে সামরিক হতাহতের সংখ্যা যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
রাখাইন রাজ্যে জান্তা বিমান ও কামানের হামলায় দুই কিশোরসহ চার বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) তানিনথারি অঞ্চলের পালাও টাউনশিপে পিডিএফ গ্রুপ নান তাউং গ্রামে একটি সামরিক ক্যাম্পে অভিযান চালায়। এই অভিযানে সেনা ক্যাপ্টেনসহ ছয় জান্তা সেনা নিহত হন।বৃহস্পতিবার তানিনথারি অঞ্চলের পালাও টাউনশিপে পিডিএফ গ্রুপের একটি সম্মিলিত বাহিনী এবং কাদাই গ্রামে অভিযান চালানোর চেষ্টাকারী জান্তা বাহিনীর মধ্যে তিনটি সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে কমপক্ষে সাতজন জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার (৭ নভেম্বর) ও বুধবারে (৯ নভেম্বর) টাংগু ও পিডিএফ গ্রুপের জান্তা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাগো অঞ্চলের টাংগু টাউনশিপে কমপক্ষে ৯ জন শাসক সেনা নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।অপরদিকে স্থানীয় প্রতিরোধ গোষ্ঠী চিন্ডউইন অ্যাটাক ফোর্স ও পিডিএফ গ্রুপ সোমবার মনিওয়া শহরের একটি মোড়ের সেন্ট্রি বাক্সে গ্রেনেড ব্যবহার করে ঘুমিয়ে থাকা শাসক সেনাদের আক্রমণ করে।
এই হামলায় দুই শাসক সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।বুধবার সাগাইং অঞ্চলের মায়াং টাউনশিপে পিডিএফ গ্রুপের হামলায় এক সেনা নিহত ও অপর দুইজন আহত হয়েছেন। কায়াহতে পিডিএফ স্নাইপারের হাতে আরেক জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন।
সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক