বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন সর্বস্তরের মানুষ। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মরদেহটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত রাখা হয়।
সাজেদা চৌধুরীর শ্রদ্ধায় প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সালাহউদ্দিন ইসলাম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহমদ সম্মান প্রদর্শন করেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাবেক এই মন্ত্রীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, পরবর্তীতে বাদ আসর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
এর আগে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার মহেন্দ্র নারায়ণ একাডেমি মাঠে জানাজা সম্পন্ন হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা) আসনের সংসদ সদস্য।
তরুণ বয়সেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া সাজেদা ১৯৬৯ সালে মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৭১ সালে তিনি সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে নেন দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ২০১০ সালে সাজেদা চৌধুরীকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে সরকার।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কিছুদিন আগে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয় তাকে।
রোববার রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং জাতীয় সংসদের উপনেতা সাজেদা চৌধুরী। বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে স্মৃতিশক্তিও হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।