শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
spot_img
Homeরাজনীতিবিএনপির সমালোচনা অহেতুক, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির সমালোচনা অহেতুক, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর অত্যন্ত সফল এবং ফলপ্রসূ। এ সফরে সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্যসহ বিনাশুল্কে পণ্য রফতানির সুযোগ। অথচ প্রধানমন্ত্রীর এই ভারত সফর নিয়ে বিএনপি নানা ধরনের কথা বলেছে। তিনি বলেন, সফলভাবে ভারত সফর করে বাংলাদেশের জন্য অনেক কিছু নিয়ে আসায় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।

আজ শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) আয়েজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের ৩৬ জন সাংবাদিকের হাতে ৩৪ লাখ টাকা অনুদানের চেক তুলে দেন। মন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ন্যায্যতার ভিত্তিতে দৃঢ় হয়েছে। আমাদের সরকারই ভারতের কাছ থেকে সবকিছু আদায় করেছে। ১৯৭৪ সালে ছিটমহল চুক্তি হয়েছে। সেই ছিটমহল আমাদের অধিকারে চার দশকে কেউ আনতে পারেনি। তারা কোন দেশের নাগরিক সেটা বলতে পারতো না। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ছিটমহলগুলো আমাদের অধিকারে এনেছে। সম্পর্ক যে ন্যায্যতাভিত্তিক তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হচ্ছে- আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের সঙ্গে মামলা করে সমুদ্রসীমা জয়লাভ করেছি।

তিনি আরো বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সেটি আরো নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। তার প্রমাণ হচ্ছে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে শুল্কমুক্ত পণ্য রফতানির সুযোগ দেওয়া, মাদকসহ মাত্র ২০টি পণ্য ছাড়া সব পণ্যে ভারত আমাদের ট্যারিফ সুবিধা দিয়েছে। যেটি বিএনপি আদায় করতে পারেনি। খালেদা জিয়া তো ভারতে গিয়ে আমাদের গঙ্গার পানি হিস্যার কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেটিও আদায় করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

হাছান মাহমুদ বলেন, সারাদেশে আজ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের আশা-ভরসার স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন সাংবাদিকের মৃত্যু হলে তার পরিবারকে এককালীন ৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়। একজন সাংবাদিক অসুস্থ হলে তাকে ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে। করোনাকালে এ উপমহাদেশের কোনো দেশে সাংবাদিকদের সহায়তা করা হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সরকার করোনাকালীন সহায়তা হিসেবে ৪ হাজার সাংবাদিককে সহায়তা দিয়েছে, যা এখনো চলমান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণের ক্ষেত্রে আমরা কখনো দল-মত দেখি না। আমি যখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছি তখন সবাইকে সমভাবে দেখার চেষ্টা করি। যারা প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে পারলে কালকেই সরকার নামিয়ে দেয়, আমাদের বিরুদ্ধে গলা ফাটায়, তাদেরও আমরা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহায়তা করেছি। কিন্তু মাঝেমধ্যে বিশ্ব পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা হয়। কিছু কিছু সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিশ্ব পরিস্থিতিকে আড়াল করে দেশের পরিস্থিতিকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে

দেখিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী, যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ, সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম প্রমুখ। সূত্রঃ বাসস

পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন