রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি ) প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান বলেছেন, ক্যাম্পাসে চোর ধরার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছি। যে চোর ধরতে পারবে তাকে পুরস্কার দেওয়া হবে। তবে কি পুরস্কার দেওয়া হবে সে বিষয়ে কোন কিছু বলেননি তিনি।
তিনি বলেন, আজকে থেকে মসজিদে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। একটা আনসার থাকবে মসজিদের সামনে। এসব চুরির পেছনে একজনই কাজ করছে। আমরা তাকে ধরার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করছি।
সম্প্রতি বেড়েছে চুরির উপদ্রব। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ পত্র জমা দিয়েও মিলছে না কোনো সুরাহা। একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। আগে চুরির ঘটনা ক্যাম্পাসের ভেতরে তেমন দেখা না গেলেও গত ১ মাসে কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই মাসে কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে এক সপ্তাহে দুটি সাইকেল এবং অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং ৪ থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর আর একটি সাইকেল চুরি হয়। প্রতিটি চুরি হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা অভিযোগপত্র জমা দিলেও তেমন কোনো প্রতিকার দৃশ্যমান হচ্ছে না। সিসিটিভির ফুটেজ থাকলেও চোর থাকছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
এ বিষয়ে একাধিক ভুক্তভোগী যাদের ক্যাম্পাসে সাইকেল হারিয়েছে তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার দিকে জোরদার করতে হবে, সিসিটিভি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে যেন বহিরাগত টোকাই ক্যাম্পাসে না প্রবেশ করতে পারে।
তারা আরও জানায় যথাযথ ভাবে চোরদের শনাক্ত করে জনসম্মুখে পুলিশের হাতে দিতে হবে যাতে অন্য চোর বুঝতে পারে যে চুরি করা যাবে না। প্রক্টর, প্রভোস্টের এবং প্রশাসনের অবহেলায় এসব চোর শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যায়। সর্বশেষ আমরা নিরাপদ টোকাইমুক্ত ক্যাম্পাস চাই। বহিরাগতদের নিষিদ্ধ করতে হবে, তাদের সঙ্গে গেটে কথা বললেই বুঝা যাবে তারা ক্যাম্পাসের কিনা (যারা গেটের দায়িত্বে থাকবে তারা বলবে যাদের সন্দেহ মনে হবে)। তাছাড়া সিসি ক্যামেরা তেমন কাজ এ আসেনা, সিসি ক্যামেরা বেশি এবং ভাল করা লাগবে। প্রশাসন এবং পুলিশ পরস্পর কাজ করতে হবে।