নতুন করে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এর ফলে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে স্বর্ণের দাম।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভরিতে ২ হাজার ৬১৩ টাকা বেড়েছে। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এখন দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৪ টাকা।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হবে নতুন এ দাম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৪ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ২৯ হাজার ৫০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৯১ হাজার ৩৮ টাকায় বিক্রি হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে, গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ২১ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ৩ হাজার ১৪৯ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫১ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৮ হাজার ৮৬০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৯ হাজার ২১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৪০ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ২৪ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১৬ বার। এর আগে ২০২৩ সালে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। বাজারে বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি ১ হাজার ২৮৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।