বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), পুলিশ, ইমিগ্রেশনসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের দুই একদিনের মধ্যেই সমুদ্রপথে ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের কোনো কনফ্লিক্ট নেই, যুদ্ধ নেই। তারা আত্মরক্ষার্থে এখানে এসেছে।
মঙ্গলবার হাইওয়ে পুলিশ সেবা সপ্তাহ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তারা আমাদেরকে বার্তা পাঠিয়েছে- দুই একদিনের মধ্যেই সীমান্তরক্ষীদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
মন্ত্রী বলেন, মিয়নমারের চতুর্দিকেই যুদ্ধ লেগে আছে। বাংলাদেশ সীমানায় আরাকান আর্মির সঙ্গে তাদের বাহিনীর যুদ্ধ চলছে। আমরা দেখছি তাদের এই যুদ্ধ এতোটাই তীব্র হয়েছে যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সরকারি কর্মকর্তা, ধারনা করছি দুই-একজন সেনা সদস্য আমাদের এখানে ঢুকে পড়েছে। এদের মধ্যে কেউ অস্ত্র নিয়ে এসেছে, কেউ অস্ত্র ছাড়া ঢুকে গিয়েছে। তবে তারা এসেছে জীবন রক্ষার জন্য, যুদ্ধের জন্য ঢুকেনি। এরপর আমাদের বিজিবি সদস্যরা তাদের অস্ত্রগুলো রেখে আটক অবস্থায় আমাদের এখানে রেখেছে। এদের মধ্যে যারা আহত, তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা তাদের ফেরত নিতে জানিয়েছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি এমনিতেই ১২ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের এখানে রয়েছে। রোহিঙ্গা বা অন্য কেউ যেই আসুক, মিয়ানমার থেকে আমরা কাউকে আর এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে দেবো না।
তিনি আরও বলেন, যারা আত্মরক্ষার্থে এখানে আসছে তাদের সরকারকে বলেছি নিয়ে যেতে। তারা নিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে আমাদের বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড সবাই অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করছে। সেখানে যুদ্ধ হচ্ছে, এ সীমানায় তাদের কেউ আসবে বলে মনে হচ্ছেনা। তারপরেও যদি আসে আমাদের এখানে কেউ প্রবেশ করতে পারবেনা।