শেরপুর জেলা হাসপাতালে দিন দিন বেড়েই চলছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। গত ১১ জুলাই প্রথম রোগী ভর্তি হয়েছিলেন জেলা হাসপাতালে। এরপর থেকে নিয়মিত রোগী বেড়েই চলছে হাসপাতালে।
সোমবার ২৪ জুলাই সকাল পর্যন্ত জেলা হাসপাতালের ডেঙ্গু ইউনিটে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৫ জন। সন্দেহজনক ডেঙ্গু নিয়ে আরও অন্তত ১০ জন হাসপাতালে অবস্থান করছেন। এছাড়াও চিকিৎসকের তত্বাবধানে বাড়ীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে।
জানা যায়, প্রথম দিন একজন রোগী ভর্তি হলেও এর পরের তিন দিনে ৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৭ জন। প্রতিদিন গড়ে চার থেকে পাঁচজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন।
ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়লেও জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, আতংকের কিছু নেই। যেসব ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন তারা সবাই ঢাকায় আসা-যাওয়া করেন। কর্মক্ষেত্র ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে তারা গ্রামের বাড়ী শেরপুরে এসে হাসপাতালে ভর্তি হন। হঠাৎ করে শেরপুরে ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ায় জেলা হাসপাতালে ৪০ শয্যার একটি ডেঙ্গু ইউনিট চালু করা হয়। প্রয়োজনে শয্যার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
লোকবল সংকটের কারণে কিছুটা সমস্যা হলেও স্বাস্থ্য বিভাগ ডেঙ্গু রোগীদের প্রতি বিশেষ নজর রাখছে। ওষুধ ও পরীক্ষা নিরীক্ষার কোন সংকট নেই বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, শেরপুর জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গু ইউনিট পরিদর্শণ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক ডা. শফিউর রহমান। এসময় তিনি ডেঙ্গু আক্রান্তদের খোঁজখবর নেন। পরে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের নিকট ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশার বিস্তাররোধ এবং সচেতনতামুলক প্রচারণা জোরদার করার আহ্বান করেন।
সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য, জেলা হাসপাতালের তত্বাধায়ক ডা. জসিম উদ্দিন এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।