সেনা শাসিত মিয়ানমারের একটি আদালত দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি ও তার সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা শন টার্নেলকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাজধানী নেপিডোতে একটি বদ্ধ আদালত থেকে এই সাজা ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রীয় কী গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা হয়েছে তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র এর আগে রয়টার্সকে জানিয়েছিল, টার্নেলের কাছে সরকারি নথি ছিল।
গত বছরের শুরুর দিকে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার মধ্য দিয়ে ক্ষমতা হস্তগত করে দেশটির জান্তা সরকার। এরপর সু চি, তার উপদেষ্টা টার্নেল ও তার অর্থনৈতিক দলের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির রাজনীতিবিদ, আইন প্রণেতা, আমলা, ছাত্র ও সাংবাদিকসহ কয়েক হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইতোমধ্যে নোবেলজয়ী সু চিকে পৃথক মামলায় ১৭ বছরেরও বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ মামলাই দুর্নীতির অভিযোগে। তবে সু চি তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শন টার্নেল অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের কয়েকদিন পর গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইয়াঙ্গুনে তাকে আটক করা হয়। রয়টার্স জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এই রায়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং এর আগে বলেছিলেন, টার্নেলের বিচারের বিষয়ে আদালতের একটি সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছিল ক্যানবেরা।
জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্রকে এই রায়ের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ফোন করেছিল রয়টার্স। তিনি কোনো জবাব দেননি। তবে জান্তার দাবি, মিয়ানমারের আদালত স্বাধীন। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের ব্যাপারে যথাযথ প্রক্রিয়া মানা হচ্ছে।