‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। করোনার অভিঘাতে দুটি বছর বিপর্যস্ত বিশ্বের অর্থনীতি। তার ওপর আবার এসেছে ইউক্রেন আর রাশিয়ার যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা। যে কারণে বিশ্বের অর্থনীতি আজ ভেঙে পড়েছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশকেও খুব কঠিন সময় অতিক্রম করতে হচ্ছে।’
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো নিজেদের নিয়েই হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে আমাদের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্য সেবা দেয়া যে কত কঠিন দায়িত্ব, সেটি আমরা উপলব্ধি করি। প্রত্যেকটি দেশে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে বলা হচ্ছে। ইংল্যান্ড, আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলোতে খাদ্য কেনার ক্ষেত্রে রেশন করে দেয়া হচ্ছে। আমাদেরকেও আরও মিতব্যয়ী হতে হবে। নিজেদের দেশের উৎপাদন বাড়াতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছিল। এখনও সেরকম সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ প্রথমে করোনা, এরপর যুদ্ধ। এ জন্য দেশের সকল মানুষের প্রতি আহ্বান, যার যেখানে এক ইঞ্চি জমি আছে সেখানে যে যা পারেন উৎপাদন করেন। নিজেরা নিজেদের চাহিদা মেটাতে উদ্যোগী হোন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা না থাকলে হাজার চিকিৎসা করেও রোগী বাঁচানো যাবে না। খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সেবা কাছাকাছি এবং একটা আরেকটার ওপর নির্ভরশীল। সেজন্য বলব, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, পানি ব্যবহারসহ সর্বক্ষেত্রে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। নিজেদের সঞ্চয় বাড়াতে হবে। যেন যেকোনো দুঃসময় এলে আমরা তা মোকাবিলা করতে পারি।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল, বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।