রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪
spot_img
Homeরাজনীতিজমা দেওয়া হলো না জয়-লেখকের ‘অনিয়মের ফিরিস্তি’

জমা দেওয়া হলো না জয়-লেখকের ‘অনিয়মের ফিরিস্তি’

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের কার্যক্রমে ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন ‘অনিয়মের’ তালিকা তৈরি করেছে সংগঠনটির অন্য নেতারা। সেই তালিকাটি প্রধানমন্ত্রীর নিকট জমা দেওয়ার কথা ছিল গতকাল শনিবার। কিন্তু আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেতে না পারায় অভিযোগপত্রটি জমা দিতে পারেনি অভিযোগকারী ছাত্রলীগ নেতারা। এমনটিই দাবি করেছেন সংগঠনের সহসভাপতি সোহান খান।

সোহান খান বলেন, আমরা কার্যালয়ে গিয়ে বিপ্লব বড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাইনি। তাই আমরা আজকে (শনিবার) জমা দিতে পারিনি। আমরা অন্য মাধ্যমে হলেও আমাদের অভিভাবক শেখ হাসিনার কাছে অভিযোগপত্রটি পৌঁছে দেব। এরই মধ্যে আমরা ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা কোনোভাবেই ছাত্রলীগের ভেতরের অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না। আমরা আমাদের অভিভাবককে (শেখ হাসিনা) অভিযোগপত্র পৌঁছে দেব।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের আরেক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আমরা জয়-লেখকের অনিয়মের ফিরিস্তি নিয়ে অভিযোগপত্রটি ছাত্রলীগের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরতে চেয়েছি কিন্তু দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর আমরা ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চার নেতার কাছে এই ফিরিস্তি হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিই। এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে যেকোনোভাবে আমরা নেত্রীর কাছে অভিযোগপত্র পৌঁছাব।

ছাত্রলীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা, কমিটিতে বাণিজ্য করা, কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত ছাড়াই শোকের মাস আগস্টের শুরুতে এক দিনে জেলা, উপজেলা মিলে ১১টি কমিটি ঘোষণা করা, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও নির্বাহী কমিটিকে চিঠি ইস্যু ও অনিয়মের মাধ্যমে পদায়ন করা, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার পর থেকে হল ছেড়ে অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে থাকা, একাধিক গাড়ি ব্যবহার, বিভিন্ন জায়গায় টেন্ডারবাজির সঙ্গে যুক্ত থাকাসহ আরও অনেক ‘অনিয়মের’ ফিরিস্তি অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে ৩০তম সম্মেলনের আয়োজনের তারিখ ঘোষণা করার জন্যও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান ছাত্রলীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।

উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই সময়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি দুই শীর্ষ নেতাকে পূর্ণ দায়িত্ব তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে ছাত্রলীগ। ইতিমধ্যে ছাত্রলীগের একটি বড় অংশ কেন্দ্রীয় সম্মেলনের দাবিতে সরব হয়ে উঠেছে।

পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন